শাহজালাল বিমানবন্দরে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তারেক রহমানের উদ্বেগ
- আপলোড সময় : ১৯-১০-২০২৫ ০৮:৫৭:৫৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৯-১০-২০২৫ ০৮:৫৭:৫৭ পূর্বাহ্ন

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (পণ্য রাখার স্থান) অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ক্ষতিগ্রস্ত সবার জন্য আমার দোয়া রইল। আশা করি, সবাই নিরাপদে আছেন। শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই উদ্বেগের কথা জানান তারেক রহমান। একই সঙ্গে অগ্নিকান্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানান তিনি। পোস্টে জনসেবার প্রতি সত্যিকারের নিষ্ঠা প্রদর্শন করে দ্রুত ও সাহসের সঙ্গে অগ্নিকান্ড- নিয়ন্ত্রণে কাজ করা ফায়ার সার্ভিস, সশস্ত্র বাহিনী এবং অন্যদের প্রশংসা করেন তারেক রহমান।
মিরপুরের শিয়ালবাড়ির রাসায়নিক গুদাম ও পোশাক কারখানায় এবং চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) একটি কারখানায় লাগা আগুনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, সম্প্রতি অগ্নিকান্ডের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব ঘটনার কারণ নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতের জন্য জননিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্ত করা অপরিহার্য।
এদিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিবৃতিতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শত্রুরা এখনো সদা তৎপর রয়েছে। সম্প্রতি দেশে কয়েকটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আগুন লাগার ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। এসব ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত বলে জনগণ বিশ্বাস করে।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আকাক্সক্ষার বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতেই ফ্যাসিস্টদের দোসরেরা জোরালোভাবে নানা ধরনের সহিংস কর্মকান্ড শুরু করেছে। এ ধরনের অপকর্ম ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য দেশের আপামর মানুষকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগ আর অসংখ্য ছাত্র-জনতার নিদারুণ যন্ত্রণাকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। তবে গণঅভ্যুত্থানের সাফল্য এবং সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দিতে স্বৈরাচারের অংশীদারেরা এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি সতর্ক থাকলে দেশকে আর নৈরাজ্যের গভীর অন্ধকারে নিক্ষেপ করা যাবে না। ষড়যন্ত্র কিংবা অপপ্রচার চালিয়ে গত ১৬ বছরের অনাচার-অবিচার থেকে জনগণকে বিস্মৃত করা যাবে না।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ